মিষ্টি আলু খেলে কি রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়..?



পানি কোনো টিউব দিয়ে খুব জোড়ে চললে টিউবের দেয়ালে চাপ দেয়। চাপ দিলে দেখা যাচ্ছে যে টিউবের দেয়ালটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেমনি রক্তনালিতে প্রবহমান রক্ত যখন অতি উচ্চ চাপে চলতে থাকবে, তখন তার পাশের দেয়ালে চাপ দিবে। চাপ দিয়ে দেয়ালটা নষ্ট হয়ে যাবে। দেয়ালে ছিদ্রও করে ফেলতে পারে। এই যে দেয়ালটাকে নষ্ট করা, ছিদ্র করা, দেখা গেল এতে তার রক্তনালি নষ্ট হয়ে যাবে। এই রক্তনালি যদি মস্তিষ্কের হয় তাহলে স্ট্রোক করবে। এই রক্তনালি যদি চোখের হয়ে থাকে, দেখতে পারবে না। এই রক্তনালি যদি হৃদপিণ্ডের হয়ে থাকে, হৃদপিণ্ড নষ্ট হবে। যদি কিডনির হয়ে থাকে, কিডনি নষ্ট হবে। হাত পায়ের হয়ে থাকলে, হাত পা পচে যাবে। মানে যেখানে যেখানে রক্তনালি রয়েছে সব জায়গাতেই চাপ বাড়লে অঙ্গগুলো নষ্ট হবে।

রক্তচাপ কাদের বেলায় বাড়ে বা কেন বাড়ে?
একটি হলো বয়স। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এটি বাড়তে থাকে। বাড়লে সেটিকে আমরা বলব, উচ্চ রক্তচাপ। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় কিন্তু ১২০/ ৮০ তার থাকা প্রয়োজন, যেই বয়সেই হোক না কেন। তবে বয়সের কারণেও বাড়তে পারে। বয়সের সঙ্গে কেন বাড়বে? হয়তো তার জিনগত ইতিহাস রয়েছে।
দুই নম্বর হলো, কিছু অভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে। কেউ যদি নড়াচড়া না করে, তাহলে তার রক্তচাপটা বেড়ে যেতে পারে। ব্যায়াম, হাঁটা এগুলোর মাধ্যমে রক্তচাপকে কমানো যায়। এরপর রয়েছে খাদ্যাভ্যাস। কেউ যদি চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খায়, কেউ যদি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় জিনিস বেশি খায়, তাহলে তার রক্তচাপ বাড়তে পারে। আর নারীদের বেলায় জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খেলে বাড়তে পারে। আমি জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধের বিরুদ্ধে বলছি না। তবে এটি দেখে শুনে খেতে হবে। রক্তচাপ মেপে মেপে খেতে হবে। অনেক সময় মুখে খাওয়ার জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ রক্তচাপ বাড়ার জন্য ভূমিকা রাখে। যাদের বেলায় সমস্যা হচ্ছে, তারা অন্য পথে যাবে। আর কিছু অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্যও রক্তচাপ বাড়তে পারে। কিডনি নষ্ট হলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। আরো অন্যান্য অ্যান্ডোক্রাইন রোগের জন্য রক্তচাপ বাড়তে পারে। কিডনির ওপর একটি গ্রন্থি রয়েছে, এটির রোগের কারণে রক্তচাপ বাড়তে পারে। থাইরয়েডের কারণে রক্তচাপ বাড়তে পারে। বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কারণ জানা, কারণ না জানা। যেগুলোর কারণ জানা রয়েছে সেগুলোকে আমরা বলি সেডেন্টারি উচ্চ রক্তচাপ। এটি কেবল পাঁচ থেকে ১০ ভাগ। আর অজানা কারণ, মানে এখনো যে কারণ বের করা যায়নি, তাকে আমরা বলি এসেনশিয়াল হাইপারটেনশন। সেটাই শতকরা ৯০/ ৯৫ ভাগ। যার কারণ জানা যায়, তার সমাধান সহজ হয়। কিন্তু যে কারণ জানা যায় না, এর সংখ্যা অনেক, ৯০/ ৯৫ ভাগ। এর সমাধান দুরূহ। কার্বোহাইড্রেটগুলি আপনার মোট দৈনিক ক্যালোরির 45 থেকে 65 শতাংশ। সুতরাং, যদি আপনি প্রতিদিন 2,000 ক্যালরি পান, সেইটি যথেষ্ট। প্রতিদিন 900 থেকে 1,300 ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট হওয়া উচিত। অর্থাৎ, একটি দিনে 225 গ্রাম থেকে 325 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
মিষ্টি আলুর কার্বোহাইড্রেট ( শর্করা ) হল ২০.৭ গ্রাম। বেশি পরিমানে খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে বইকি।

Comments

Popular posts from this blog

হযরত ইলিয়াস (আলাইহিস সালাম)

জেনে নিন মহিলাদের কপালে টিপ এর ব্যবহার কোথায় থেকে এবং কিভাবে শুরু হলো

ভূমিকা